ফ্রেমওয়ার্ক ও ফার্মওয়্যার কি এবং কেন?

Framework বা কাঠামোগত কাজঃ-
Frame অর্থ কাঠামো, Work অর্থ কাজ। কোন ছিুর সাপোর্ট বা সহযোগীতাগত কাজকে ফ্রেমওয়ার্ক বা Framework (কাঠামোগত কাজ) বলা যায়।
যেমন- একটি বাড়ি বা দালান বানাতে গেলে লোহার ফ্রেম এর দরকার। এই লোহার ফ্রেম এইক্ষেত্রে বিল্ডিং এর ফ্রেমওয়ার্ক। আন্যদিকে ধরুন ইট তেরি করবেন। তাহলে, আপনাকে বা আমাদেরকে অবশ্যই ইটের জন্য কাঠের বা স্টিলের একটি সাঁচ বা বাক্স দরকার। এই ক্ষেত্রে এই কাঠের বাক্সটি ফ্রেমওয়ার্ক।

ঠিক তেমনি কম্পিউটার বা মোবাইল বা ওয়েব বা ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রের জন্য প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার তৈরি করতে একটি সাহায্যকারী কাঠামো হলো ফ্রেমওয়ার্ক। যার উপর নির্ভর করে অন্য সফটওয়্যার প্রজেক্ট তৈরি ও উন্নয়ন করা যায়। একটি ফ্রেমওয়ার্ক এর মধ্যে সাপোর্ট প্রোগ্রাম, কোড লাইব্রেরী, স্ক্রিপ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ও অন্যান্য সাহায্যকারী সফটওয়্যার এর সমাবেশ থাকে। যা একটি সফটওয়্যার প্রজেক্ট এর বিভিন্ন কম্পোনেন্টের উন্নয়ন ও সংযোজনের জন্য ব্যবহার হয়।
সফটওয়্যার উন্নয়নের সুবিধাদানের জন্যই ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়। ফ্রেমওয়ার্ক একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার বা ডিজাইনারকে সফটওয়্যার তৈরিতে খুটিনাটি অথচ শ্রমসাধ্য ও সময সাপেক্ষ্য বিষয়গুলো তৈরি থেকে মুক্তি দেয়। এতে কম্পিউটার প্রোগ্রামার বা ডিজাইনার সফটওয়্যারের বিভিন্ন চাহিদার দিকে বেশি আলোকপাত করতে পারেন। ফলে একজন প্রোগ্রামার নিম্নোস্থরের প্রোগ্রামিং এর জন্য সময় ব্যয় করতে হয় না।
Firmware বা দৃঢ়পণ্যঃ-
Firm অর্থ দৃঢ়, Ware অর্থ পণ্য। বিক্রয়ের জন্য কোন শক্তিশালী বা দৃঢ়পণ্য হচ্ছে ফার্মওয়্যার। ফার্মওয়্যার হচ্ছে একধরনের সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার ডিভাইসের একগুচ্ছ প্রোগ্রামের নির্দেশনাবলী সেট। হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ করে তা প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলী প্রদান করে। কিন্তু সফটওয়্যার কিভাবে হার্ডওয়্যারে পরিচালনা করা যায়? ভাল প্রশ্ন: ফার্মওয়্যার সাধারণত একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের ফ্লাশ রম এ সংরক্ষণ করা হয়। ফ্লাশ রমটিকে বলা হয় ইপিরম। এই ইপিরমটি কে মুছে ফেলা যায় এবং এতে নতুন করে কোড লিখা যায়। কারণ এটি আসলে ফ্লাশ মেমরি। তাই এই ফ্লাশ মেমরিতেই থাকে ফার্মওয়্যার। বিভিন্ন ডিভাইসে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত।

যেমন- কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর BIOS.
আপনারা যারা মাইক্রো-কন্ট্রোলারের নাম শুনেছেন। তারা অবশ্যই জানেন যে, মাইক্রো-কন্ট্রোলারে সি ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে প্রোগ্রাম রচনা করতে হয়। এই মাইক্রো-কন্ট্রোলারের জন্য প্রোগ্রাম রচনা কেই অনেক অংশে ফার্মওয়্যার প্রোগ্রামিং বলা যায়। কারণ, এই মাইক্রো-কন্ট্রোলার নামক চিপে প্রোগ্রাম করা আর মাইক্রো-প্রসেসর বা মাইক্রো-চিপে প্রোগ্রাম করা একই রকম। তবে ক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে প্রোগ্রামিং এর ধরন বা ফার্মওয়্যার ডেভলপ করা।

আমি আশাকরি আপনারা ফ্রেমওয়ার্ক ও ফার্মওয়্যার কি তা বুঝতে পেরেছে।