মাশরুম চাষ করে অর্থ আয় করুন
1 min read

মাশরুম চাষ করে অর্থ আয় করুন

অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ বাঙালীর খাদ্য তালিকার মধ্য যুক্ত হয়ে খুব দ্রুতই অভিজাত মহলে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে মাশরুম। এর চাষ তাই নিঃসন্দেহেই লাভদায়ক।

খুঁটিনাটি তথ্যঃ- আমাদের দেশে তিন রকমের মাশরুমের চাষ হয়- পোয়াল ছাতু, ঘিংরি ছাতু ও বোতাম আকৃতির সাদা ছাতু। তার মধ্যে পোয়াল ছাতু চাষের জন্য চাই একটু স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। ৩০-৩৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা এই পোয়াল ছাতু চাষের পক্ষে বেশী উপযোগী। পোয়াল ছাতুর ক্ষেত্রে বীজবপনের ১৫ দিনের মধ্যে ফসল মেলে। মাশরুম চাষের জন্য দরকার হয় আমন ধানের খড়।

     এই খড়কে ১ ইঞ্চি মাপে কেটে ১২-১৬ ঘন্টা জলে (পানিতে) ভিজিয়ে রেখে তারপর কয়েকঘন্টা ওপরে ঝুলি রেখে জল ঝরিয়ে নিতে হয়। মাশরুম চাষ বেত বা পলিথিনের ব্যাগেও করা যায়। তবে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চাষের জন্য বেতই ভালো। ১টা ঘরে ১ কেজির মতো বীজ ব্যবহার করে ২-৩ কেজি মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব। বীজের দাম প্রতিকেজি ২০-৪০ টাকার মতো। একটা ঘর থেকে আপনি ৩০০ টাকার মতো একবারে মাশরুম বিক্রি করতে পারেন।

মাশরুম চাষের পদ্ধতিঃ- ১টা ঘরে প্রথমে বেত দিয়ে একটা মাচা বানাতে হবে। তাতে নেট বিছিয়ে তার ওপর খড় বিছিয়ে মাশরুম বীজ দিয়ে তার ওপরে ছোলার ছাতু দিয়ে ১ইঞ্চি খড়ের স্তর করে তার ওপরে আবার মাশরুমের বীজ দিয়ে ফের খড় বিছাতে হবে এবং তার ওপরে পলিথিন পাততে হবে। এই মাচার ওপরে আর একটা মাচা বানাতে হবে। তারও ওপরে আরও ১টা বা ২টা সাচা বানানো যায়। এইভাবে বেতের ৩/৪টি ধাপ বানিয়ে চাষ করতে হবে। পলিথিনটা প্রথম ৩/৪ দিন চাপা দিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু রোজ সেটাকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য খুলে ধাপগুলোতে হাওয়া লাগাতে হবে। এ সময় প্রয়োজন হলে পানি বা জল দিতে হবে।

দামঃ- মাশরুমের খোলা বাজারে বিক্রয়মূল্য ১২০- ১২৫ টাকা।

কীভাবে, কোথায় বিক্রিয় করবেন- বড় বড় হোটেল গুলোতে সাপ্লাই দিতে পারেন। কিছু সংস্থা আছে যারা নিজেরা মাশরুম চাষ করতে দেয়, তারাই তা কিনে নেয়। খবরের কাগজে এরা নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেয়।